,

হবিগঞ্জে পালিয়ে এসে বিয়ে করেও ঘর বাধা হলোনা প্রেমিক যুগলের

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জের ছেলের সাথে ঢাকাইয়া মেয়ে পালিয়ে এসে বিয়ে করে ঘর বাধতে পারল না। পিতার মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ঠিকানা হল কারাগারে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া থানার এসআই আরিফ রহমান ও সদর থানার এসআই অমিতাভ-এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ শহরের সুনামধণ্য চাঁদের হাসি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে একটি রুম থেকে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগলকে আটক করেন। আটককৃতরা হল গেন্ডারিয়া থানার কোনাপাড়া এলাকার আবুল কালাম হাসানের কন্যা স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী হুমায়রা হাসান ও বাহুবল উপজেলার পূর্ব ভাদেশ্বর পুকুরপাড় গ্রামের দরস মিয়ার পুত্র গামেন্টস শ্রমিক সুজাত মিয়া (২২)। পুলিশ ও আটককৃতরা জানায়, সুজাত ওই এলাকার একটি গামেন্টসে সুপার ভাইজার হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে একদিন পানি খেতে হুমায়রা হাসানের বাসায় গিয়ে পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সুত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেম ভালবাসার সৃষ্টি হয়। বৈশাখীর দিন তারা ঘুরতে বেড়িয়ে রমনা পার্কের বটমূলে আড্ডা দেয়। বিষয়টি দেখে পেলে ওই ছাত্রীর পরিবার। এক পর্যায়ে তাকে গালমন্দ করে। কিন্তু প্রেম এমন বাধা উপেক্ষা করে ১৫ এপ্রিল প্রেমিক যুগল অজানার উদ্যেশে পাড়ি জমায়। তারা হবিগঞ্জ কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এদিকে, এক মাত্র কন্যাকে হারিয়ে মানুসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন তার পিতা। অবশেষে নিরুপায় হয়ে স্থানীয় গেন্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের মোবাইল ট্যাকিংএর মাধ্যমে হবিগঞ্জ চাঁদের হাসি ক্লিনিকের রুমে অবস্থান জানতে পারলে পুলিশ তাদের আপত্তিকর অবস্থায়আটক করে গতকালই তাদের ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনা নিয়ে রসালো আলোচনার ঝড় বইছে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর ওসি সহিদুর রহমান জানান, আমার কিছু করার নেই, যেখানের মামলা সেখানেই তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর